তোলাবাজীর অভিযোগে তিন তৃণমূল নেতাকে গ্ৰেপ্তার করলো বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ

18th July 2020 2:30 pm বাঁকুড়া
তোলাবাজীর অভিযোগে তিন তৃণমূল নেতাকে গ্ৰেপ্তার করলো বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোলাবাজি'র অভিযোগে গ্রেফতার হলেন শাসক দলের তিন শীর্ষ স্থানীয় নেতা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। গ্রেফতার হওয়া ঐ তিন জন হলেন, তৃণমূলের উলিয়াড়া অঞ্চল সভাপতি দোলগোবিন্দ পরামানিক, প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি গণেশ মুখার্জী ও ঐ গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান উত্তম মাঝি।

সরকারী আইনজীবি মনোদীপ্ত চৌধুরী বলেন, ঐ এলাকার একজন গ্যাসের ডিলারের কাছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নামে রসিদ ছাপিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দাবী করে। এই ঘটনার পর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ দোলগোবিন্দ প্রামানিক, গণেশ মুখার্জী ও উত্তম মাঝিকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার তিন অভিযুক্তকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রত্যেককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ২৪ জুলাই তাদের ফের আদালতে তোলা হবে।

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হরকালী প্রতিহার এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, পুরো তৃণমূলটাই দূর্ণীতিতে ভরা। যারা আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা খাওয়া থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কাটমানি খায় তাদের নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সারা রাজ্যে পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে এমন হাজার হাজার ঘটনা সামনে আসবে বলে তিনি দাবি করেন।

তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কার্যকরী সভাপতি ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। আইন আইনের পথে চলবে। আমরা এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করবোনা। বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগ ওদের জীবনসঙ্গী। মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন বলে তিনি দাবি করেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।